-আজ
আপুকে অনেক
সুন্দর লাগছে
তাই
না মা?(নিষাদ)
-হ্যা অনেক সুন্দর লাগছে স্নেহাকে
আজ।মেয়েটা আজ চলে যাবে
আমাদেরকে ছেড়ে।এই ঘর খালি করে
চলে যাবে স্বামীর হাত ধরে।আমরা
হয়ে যাবো পর এখন থেকে।(মা)
-না মা তোমরা আমার আপন আর সব
সময় আপনই থাকবে।তোমার মত শ্রেষ্ঠ
মা এই পৃথীবিতে নেই মা।(এই বলে
স্নেহা কাঁদতে লাগলো মা আর ভাইকে
জড়িয়ে ধরে)
ফিরে যাই পুরোনো দিনগুলোতে।
১৫ বছর আগের কথা,
স্নেহার বয়স তখন মাত্র ৫ বছর।ওর মা
তখন অনেক অসুস্থ হয়ে মারা যায়।এরপর
এই মা মরা মেয়েটিকে দেখাশুনা করে
ওর দাদি আর বাবা।কিন্তু মায়ের আদর
কি আর বাবা দাদি দিতে পারে? আর
দাদিরর ওতো বয়স হয়েছে।কবে উপর
ওয়ালার ডাক আসে আল্লাহই জানে।
তাই দাদি স্নেহাকে নিয়ে আর
ছেলেকে নিয়ে অনেক চিন্তা করতো।
আর স্নেহার বাবা চাকুরী করতো তাই
মেয়েকে বেশী সময়ও দিতে পারতো
না।তাই স্নেহা মায়ের কথা মনে করে
প্রায়ই কান্না করতো আর বলতো সেও
তার মায়ের কাছে যাবে।আর নাহয়
তার মাকে যেন তার কাছে নিয়ে
আসে।এসব কথা শুনে স্নেহার দাদি ওর
বাবাকে বললো আরেকটা বিয়ে করতে।
কিন্তু স্নেহার বাবা কোনো মতেই
বিয়ে করতে রাজী নয়।সে বলে,সৎ মা
এসে তার মেয়েকে কষ্ট দিবে।তার
মেয়ে তখন কার কাছে যাবে? নাহ সে
আর বিয়ে করবে না।যতদিন বেচে
থাকবে ততদিন একাই মেয়ের দেখাশুনা
করবে।
কিন্তু স্নেহার মুখের দিকে তাকিয়ে
তার বাবা বিয়ের জন্য রাজী হয়ে যায়।
বিয়েও করে মায়ের পছন্দ করা
মেয়েকেই।স্নেহা পেয়ে যায় তার নতুন
মাকে।এতে স্নেহা যে কতটা খুশী
হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো
না।ওর খুশী দেখে ওর বাবাও খুশী।
এরপর থেকে স্নেহার সব দায়িত্ব নিয়ে
নেয় ওর নতুন মা।স্নেহার নতুন মা অনেক
ভালো একজন ভালো মনের মানুষ।
স্নেহার নতুন মায়েরও মা নেই তাই সে
বুঝে মা কি জিনিষ আর মা হারানোর
দু:খ।তাই সে স্নেহাকে নিজের
সন্তানের মতোই আদর স্নেহ মমতা
দিয়ে বড় করে তোলে।এরই মাঝে মানুষ
বিভিন্ন কথা বলে যে, "সৎ মা কি আর
নিজের মেয়ের মতো আদর করবে।সৎ
মাতো সৎ মা ই।সৎ কোনো দিন আপন হয়
না।" আশেপাশের মানুষ নানা কথা
বলে বেড়ায় স্নেহার নতুন মায়ের
নামে।তাই স্নেহার মা বলে,সে
স্নেহাকে নিজের কোলের মেয়ের
চেয়েও বেশী আদর,মমতা দিয়ে মানুষ
করবে।কখনই কেউ যাতে বলতে না পারে
সে স্নেহার সৎ মা।যা ভাবা সেই
কাজ।স্নেহা যা চাইতো স্নেহার মা
তাকে সব কিছুই দিতো।কোনো কিছুতে
বাধা দিতো না।
কিছুদিন পর স্নেহার ভাই হয়।তাই মানুষ
আবার কটুক্তি করে কথা বলা শুরু করে।
কিন্তু স্নেহার মা তার নিজের ছেলের
চাইতে স্নেহাকেই বেশী আদর করতো।
ধীরে ধীরে এভাবে বেড়ে উঠে
স্নেহা।আর কেউ বলতে পারে না এইটা
স্নেহার সৎ মা আর নিষাদ স্নেহার সৎ
ভাই।এমন কি স্নেহা নিজেও কোনো
দিন বুঝে নি কে সৎ আর কে আপন।
স্নেহা ওর মার সব কথা ও শুনতো।
স্নেহা ওর বাবাকে যতটা না
ভালোবাসে তার থেকে বেশী ওর
মাকে ভালোবাসে।স্নেহার কাছে ওর
দুনিয়া ওর মাই।
আজ এই বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেও কমবে
না এই মা মেয়ের ভালোবাসা।কমবে
না ভাই,বোনের ভালোবাসা।
তাই বেচে থাকুক তাদের এই অটুট সম্পর্ক
হাজার বছর।মায়ের ভালোবাসার
কাছে সব কিছুই তুচ্ছ।
না মা?(নিষাদ)
-হ্যা অনেক সুন্দর লাগছে স্নেহাকে
আজ।মেয়েটা আজ চলে যাবে
আমাদেরকে ছেড়ে।এই ঘর খালি করে
চলে যাবে স্বামীর হাত ধরে।আমরা
হয়ে যাবো পর এখন থেকে।(মা)
-না মা তোমরা আমার আপন আর সব
সময় আপনই থাকবে।তোমার মত শ্রেষ্ঠ
মা এই পৃথীবিতে নেই মা।(এই বলে
স্নেহা কাঁদতে লাগলো মা আর ভাইকে
জড়িয়ে ধরে)
ফিরে যাই পুরোনো দিনগুলোতে।
১৫ বছর আগের কথা,
স্নেহার বয়স তখন মাত্র ৫ বছর।ওর মা
তখন অনেক অসুস্থ হয়ে মারা যায়।এরপর
এই মা মরা মেয়েটিকে দেখাশুনা করে
ওর দাদি আর বাবা।কিন্তু মায়ের আদর
কি আর বাবা দাদি দিতে পারে? আর
দাদিরর ওতো বয়স হয়েছে।কবে উপর
ওয়ালার ডাক আসে আল্লাহই জানে।
তাই দাদি স্নেহাকে নিয়ে আর
ছেলেকে নিয়ে অনেক চিন্তা করতো।
আর স্নেহার বাবা চাকুরী করতো তাই
মেয়েকে বেশী সময়ও দিতে পারতো
না।তাই স্নেহা মায়ের কথা মনে করে
প্রায়ই কান্না করতো আর বলতো সেও
তার মায়ের কাছে যাবে।আর নাহয়
তার মাকে যেন তার কাছে নিয়ে
আসে।এসব কথা শুনে স্নেহার দাদি ওর
বাবাকে বললো আরেকটা বিয়ে করতে।
কিন্তু স্নেহার বাবা কোনো মতেই
বিয়ে করতে রাজী নয়।সে বলে,সৎ মা
এসে তার মেয়েকে কষ্ট দিবে।তার
মেয়ে তখন কার কাছে যাবে? নাহ সে
আর বিয়ে করবে না।যতদিন বেচে
থাকবে ততদিন একাই মেয়ের দেখাশুনা
করবে।
কিন্তু স্নেহার মুখের দিকে তাকিয়ে
তার বাবা বিয়ের জন্য রাজী হয়ে যায়।
বিয়েও করে মায়ের পছন্দ করা
মেয়েকেই।স্নেহা পেয়ে যায় তার নতুন
মাকে।এতে স্নেহা যে কতটা খুশী
হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো
না।ওর খুশী দেখে ওর বাবাও খুশী।
এরপর থেকে স্নেহার সব দায়িত্ব নিয়ে
নেয় ওর নতুন মা।স্নেহার নতুন মা অনেক
ভালো একজন ভালো মনের মানুষ।
স্নেহার নতুন মায়েরও মা নেই তাই সে
বুঝে মা কি জিনিষ আর মা হারানোর
দু:খ।তাই সে স্নেহাকে নিজের
সন্তানের মতোই আদর স্নেহ মমতা
দিয়ে বড় করে তোলে।এরই মাঝে মানুষ
বিভিন্ন কথা বলে যে, "সৎ মা কি আর
নিজের মেয়ের মতো আদর করবে।সৎ
মাতো সৎ মা ই।সৎ কোনো দিন আপন হয়
না।" আশেপাশের মানুষ নানা কথা
বলে বেড়ায় স্নেহার নতুন মায়ের
নামে।তাই স্নেহার মা বলে,সে
স্নেহাকে নিজের কোলের মেয়ের
চেয়েও বেশী আদর,মমতা দিয়ে মানুষ
করবে।কখনই কেউ যাতে বলতে না পারে
সে স্নেহার সৎ মা।যা ভাবা সেই
কাজ।স্নেহা যা চাইতো স্নেহার মা
তাকে সব কিছুই দিতো।কোনো কিছুতে
বাধা দিতো না।
কিছুদিন পর স্নেহার ভাই হয়।তাই মানুষ
আবার কটুক্তি করে কথা বলা শুরু করে।
কিন্তু স্নেহার মা তার নিজের ছেলের
চাইতে স্নেহাকেই বেশী আদর করতো।
ধীরে ধীরে এভাবে বেড়ে উঠে
স্নেহা।আর কেউ বলতে পারে না এইটা
স্নেহার সৎ মা আর নিষাদ স্নেহার সৎ
ভাই।এমন কি স্নেহা নিজেও কোনো
দিন বুঝে নি কে সৎ আর কে আপন।
স্নেহা ওর মার সব কথা ও শুনতো।
স্নেহা ওর বাবাকে যতটা না
ভালোবাসে তার থেকে বেশী ওর
মাকে ভালোবাসে।স্নেহার কাছে ওর
দুনিয়া ওর মাই।
আজ এই বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেও কমবে
না এই মা মেয়ের ভালোবাসা।কমবে
না ভাই,বোনের ভালোবাসা।
তাই বেচে থাকুক তাদের এই অটুট সম্পর্ক
হাজার বছর।মায়ের ভালোবাসার
কাছে সব কিছুই তুচ্ছ।
0 comments:
Post a Comment