সামান্য বেতন এর চাকরি আমার। Factory তে কাজ । কোন ভাবে ই কোন টাকা জমাতে পারতাম না। ছেলেদের পড়াশুনার খরচ তার উপর বৃদ্ধ মায়ের চিকিৎসা। আমার বড় ছেলে তখন Intermediate শেষ করে university তে ঢুকেছে । সারাক্ষণ মুখ কালো করে ঘুরে বেড়ায়। ওর মা ইনিয়ে বিনিয়ে বলে ছেলের একটা laptop লাগবে। আমি হুংকার ছেড়ে রাগ দেখাই , বলি টাকা কি গাছে ধরে। রাত এর বেলা ঘুমাতে পারি না, সারা ক্ষণ মনে হয় , অন্য বাচ্চারা একটা laptop জন্য ভাল result করবে আর আমার ছেলে অভিমান বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবে । আমি থাকতে তা কি হয় !এর ভেতর ই ছেলে রাত করে ঘরে ফেরে, জিজ্ঞেস করলে বলে assignment আছে, বন্ধুর বাসায় কাজ। ছেলে আমার চোখের দিকে তাকায় না। মনে বড় আঘাত লাগে । ঠিক করি যে ভাবে ই হোক একটা laptop আমাকে কিনতে ই হবে। মহাজন কাছে যাই , বলি সারা রাতের duty টা আমাকে যেন দে । মালিক তো অবাক জানতে চাই সারা দিন কাজ করে কিভাবে রাত জাগবো, আমি বলি মাত্র তো চার মাসের ব্যাপার আমি পারব। এক ঘণ্টা রাস্তা পায়ে হেটে যাই আর ফেরত আসি শুধু রাতে এক বেলা খেতে। আসল কথা না জানিয়ে ছেলের মা কে বলি loan এর টাকা শোধ করি। চার মাস পর পকেট টাকার গুছা টা নিয়ে বাসায় যাই। বুকের ভেতর অনেক আনন্দ, ভাবি আজ দেখাব ছেলে কে, বাপ চাইলে কিনা পারে! উঠানে ঢুকে দেখি একটা নুতুন সাইকেল রাখা। আমার শব্দ শুনে সবাই বের হয়ে আসে, আমার বৃদ্ধ মা হেসে বলে , ‘দেখ বাবা, তোর ছেলে scholarship টাকা দিয়ে তোর জন্য সাইকেল কিনসে'। আমার ছেলে নিচু মুখে দাঁড়াই ছিল ঘরের দরজায়। ইচ্ছা করছিল ছোট বেলার মতো কোলে করে সারা শহর ঘুরি। কিন্তু বাবা দের সব সময় মনের কথা জানানোর সুযোগ নাই। বাবা রা চাইলে ই মা দের মত কানতে পারে না ’ - রাজীব এর বাবা
0 comments:
Post a Comment