Tuesday, 19 April 2016

একটি ছোট গল্প: মেয়েটি,, আর চার,পাঁচটি মেয়ের মতন ছিলোনা!কলেজে যেতো,পড়াশুনা আর সময় কাটাতো পরিবারের সদস্যদের নিয়ে!


মেয়েটি,, আর চার,পাঁচটি মেয়ের মতন ছিলোনা!কলেজে যেতো,পড়াশুনা আর সময় কাটাতো পরিবারের সদস্যদের নিয়ে!
ছেলেদের থেকে দূরেই থাকতো,,তার অন্য বান্ধবীরা যেখানে বালক বন্ধুদের সাথে জরিয়ে সেলফি তোলায় ব্যাস্ত,সেখানে অনেক প্রস্তাব পাওয়া সত্ত্বেও এড়িয়ে যেতো এইসব থেকে!
মেয়েটি কখনো মোবাইলে টাকা ভরার জন্য নাম্বার দিতোনা মোবাইল এর দোকানে,,সব সময় কার্ড কিনতো!
একদিন মেয়েটির টাকা ছিলোনা কার্ড কিনার,,তার এক বিশ্বস্ত বান্ধবীকে বললো টাকা ভরে দিতে,,সেদিনটাই কাল হলো মেয়েটির!
রোজ রাতে দুইটার পর থেকে কে, যেনো ফোন করে,ফোন সাইলেন্ট থাকতো বলে,দেখতে পেতোনা!
এভাবে কয়েক রাত এমন যন্ত্রনা সহ্য করে,একদিন ঠিক করলো ফোন দিয়ে মেয়েটি ধমক মারবে,,করলোও ফোন, পাশ থেকে একটা মিষ্টি গলার ছেলে হ্যালো বলে উঠলো!
কে আপনি? নাম্বার পেলেন কোথায়? রোজ রাতে এমন করে ডিস্টার্ব করেন কেনো?মেয়েটির প্রশ্ন শুনে ছেলেটা কিছুক্ষণ নিঃশচুপ হয়ে গেলো!
তারপর বললো,,আপনি, সত্যি আপনিতো!
মানি! বললো মেয়েটি,,
ছেলেটি হেসে বলছে,,আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা আপনার ভয়েস শুনছি আমি!
মেয়েটির কথা শুনে হাসি এসে গেলো,,বললো আপনার মাথায় একটু পানি ঢালেন, আর কখনো এধরনের ভূল করবেননা,,
ছেলেটি তখন বললো,,আমার কিছু কথা ছিলো,,
মেয়েটি বললো,আমি শুনতে বাধ্য নই,,বললো ছেলেটি প্লিজ!
হুমম বলেন,,শুনছি মেয়েটি বললো!
আমি আপনাকে কলেজে একনজর দেখেছি,,সাহস হয়নি কথা বলার, দিন আমার কাজিন থেকে নাম্বারটা অনেক কষ্ট করে পেয়েছি!
শেষ হয়েছে আপনার কথা,,মেয়েটি বলল!
না,আর যত সামান্যই আছে,,ছেলেটি বললো,,
আমি সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার,,পড়াশুনাও করছি,সাথে একটা জবও করছি!
প্রিন্সেস আপনি কি আমাকে একটা সুযোগ দিবেন আপনাকে ভালোবাসার!
মেয়েটি কখনো ভনিতা করতোনা,,সে বলে দিলো সরাসরি কখনোই না!
ছেলেটি কাঁদছে,বললো কেনো?
সব কেনোর উত্তর হয়না,মেয়েটি খুব আবেগ প্রবন হয়ে বললো কথাটি!আচ্ছা থাক তাহলে বলতে হবেনা,,শুধু আমি আপনার বাচ্চাদের মতো এই মিষ্টি হাসিটা রোজ শুনতে চাই,,
কথা শুনে মেয়েটি ফোনটা কেটে দিলো,আর ব্লক মেরে দিলো ছেলেটির নাম্বার,আর কান্না করতে থাকলো অনেক!
মেয়েটির ছোট বেলায় একটা এক্সিডেন্টে তার মা হওয়ার যোগ্যতাটা হারিয়ে ফেলেছে,, সে মাঝেই মাঝেই পেটের ব্যাথার চিৎকারে অজ্ঞান হয়ে যায়,,
এই কথাটা কাউকে বলতে পারেনা,,তাকে পাওয়ার মানুষের অভাব নেই,,কিন্তুু বিয়ের পর পাঁচ বছর না যেতেই যখন সমাজের মানুষ গুলো বলতে শুরু করে দিবে,এই মাইয়্যাটা বন্ধ্যা,এর মুখ দেখাও পাপ!
কথা শুনার চেয়ে,, সে পণ করেছে জীবনে বিয়ে নামক অধ্যায়টি তার লাগবেনা,,সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সব সুখ দেয়না!!

0 comments:

Post a Comment